দেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আসছে সুখবর। নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে সরকার। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই পে কমিশন গঠন, সভা আয়োজন এবং ব্যয় বিশ্লেষণের মতো প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই গেজেট আকারে কার্যকর করা হবে। এজন্য চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখা হবে বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব তথ্য জানান।
কমিশনের একজন সদস্য আভাস দেন, বর্তমানে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের অনুপাত ১০:১। নতুন কাঠামোতেও এ অনুপাত ৮:১ থেকে ১০:১ এর মধ্যে রাখা হবে। প্রতিবেশী দেশগুলোতেও অনুরূপ অনুপাত বিদ্যমান। বিদ্যমান ২০টি গ্রেড থেকে গ্রেড সংখ্যা কমানো হলেও সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের অনুপাত অপরিবর্তিত রাখার সুপারিশ করবে কমিশন।
সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নের লক্ষ্যে গত ২৪ জুলাই একটি জাতীয় পে কমিশন গঠন করা হয়। সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খানকে চেয়ারম্যান করে গঠিত এই কমিশন চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই তাদের সুপারিশ সরকারকে জমা দেবে। ইতোমধ্যে কমিশন কাজ শুরু করেছে এবং কর্মচারীদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ জন ধরে ব্যয়ের হিসাব প্রণয়ন করতে নির্দেশনা দিয়েছে।
কমিশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ২৯ সেপ্টেম্বর। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় আগামী ছয় মাসের মধ্যে সরকারের কাছে পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ জমা দেওয়া হবে।
এছাড়া কমিশন চিকিৎসা ও শিক্ষা ভাতা বাড়ানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে একজন কর্মচারী মাসে ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান, যা চাকরির শুরু থেকে অবসর পর্যন্ত সমান থাকে। নতুন কাঠামোয় এ ভাতা বাড়ানোর পাশাপাশি অবসর-উত্তর সুবিধাও যোগ করা হবে। একইভাবে সন্তানদের শিক্ষাভাতাও বাড়ানোর সুপারিশ থাকবে।
